উৎপল ঘোষ,ক্রাইম রিপোর্টার :
যশোর অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের নির্জন পল্লী জনপদের আড়পাড়া গ্রামের প্রীতি ‘হত্যা’ ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য তদবির শুরু করেছেন তার স্বামী সৌমিত্র ধর। তিনি বিভিন্ন জায়গায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। প্রীতি মন্ডল উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিহাটি গ্রামের উত্তম মণ্ডলের মেয়ে। প্রীতি মন্ডল অনার্স প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগে যশোর মহিলা কলেজে পড়াশুনা করতেন। স্বামী সৌমিত্র ধর সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের অমর ধরের ছেলে। সৌমিত্র ধর পেশায় সৈনিক পদে কর্মরত আছেন।
এলাকাবাসী জানায়, আড়াপাড়া গ্রামের গৃহবধূ প্রীতি মন্ডল একটা ভালো মেয়ে এবং খুব নম্্র ভদ্র প্রকৃতির ছিল। সে সবার সাথে ভাল ব্যবহার করত। কিন্তু দেড় বছর ধরে স্বামীর সংসারে এসে কিছুই পায়নি। পায়নি সংসার। পেয়েছে শুধু ঝগড়া বিবাদ। প্রায় ঝগড়া বিবাদ হলে বাপের বাড়িতে যেয়ে থাকতো। দেড় বছরে ২৫ থেকে ৩০ বার বাপের বাড়িতে উঠতো। তার স্বামী নেশা করত। নেশা করে মাঝে মাঝে মারধর করত বলে জানায় এলাকাবাসী।
প্রীতির বাবা উত্তম মন্ডল বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্বামী পক্ষ। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। পরিকল্পিতভাবে প্রীতিকে হত্যা করেছে। এমনকি তাকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়নি। মাদকাসক্ত জামাই মেয়েকে হত্যা করেছে’।
প্রীতির দাদা অমার বিশ্বাস বলেন, তারা যদি অপরাধ না করে তাহলে পালিয়েছে কেন। বোনের মৃত্যুর পর আমরা এমনিতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। সৌমিত্রের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর কখন করবো। সেটাও খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রীতির স্বামী সৌমিত্র ধর সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার বউকে বাড়ির সবার অমতে বিয়ে করেছিলাম। তাকে আমার বাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি। আমার স্ত্রী আমার কথা শুনতো না। তাই মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। যে কারণে প্রায় বাবার বাড়ি যেয়ে থাকতো। আমি মানসিক হতাশায় ভুগছিলাম যে কারণে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আমাকে লোকজন ডির্স্টাব করছে, সে কারণে ফোন বন্ধ রেখেছি। প্রীতির শাশুড়ি স্বপ্না মন্ডল বলেন, নবমী পূজায় শাড়ি কেনাকাটা বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়। রির্পোট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply