বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল ঘোষঃ
র্যাব-৬, সিপিসি-৩ যশোর এর ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক অস্বাস্থ্যকর জেলিপুশকৃত চিংড়ি বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে পরিবহনে সহায়তা করার অপরাধে চিংড়ি মালিককে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা ও বিপুল পরিমাণ ৩৬০ কেজি জেলি পুশ চিংড়ি জব্দ পূর্বক ধ্বংস করা হয়েছে।
খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত।কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য জেলি পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষণীয় করছে বলে জানতে পারে যশোর র্যাব-৬।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বিপুল পরিমাণ চিংড়িতে ইনজেকশনের মাধ্যমে অপদ্রব্য জেলি পুশ করে মাছের ওজন বৃদ্ধি করে বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান জেলি পুশ চিংড়ি নিয়ে ০১ টি মিনি ট্রাক খুলনা হতে পাবনা জেলার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।
গতকাল বিকাল প্রায় ৬ টা হতে প্রায় ৮ টা পযর্ন্ত র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মোঃ হাবিবুর রহমান ও যশোর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ এর সমন্বয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বকচর মোড়ে অস্থায়ী চেকপোষ্ট বসিয়ে চিংড়ি মাছ ভর্তি ট্রাকটি থামিয়ে ট্রাকের মধ্যে রাখা ক্যারেট ভর্তি চিংড়িতে ইনজেকশনের মাধ্যমে অপদ্রব্য জেলি পুশ করেছে কিনা তা চেক করেন। এ সময় উক্ত (রেজি নং ঢাকা মেট্ট ণ- ১৯-৬০৭৮) ট্রাক টিতে ১৮ টি ক্যারেট ভর্তি আনুমানিক ৩৬০ কেজি চিংড়িতে ইনজেকশনের মাধ্যমে জেলি পুশ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রদত্ত ক্ষমতা বলে উদ্ধারকৃত ক্যারেট ভর্তি জেলি পুশ চিংড়ি জব্দ করা হয় এবং উক্ত মা ফিস এর মালিক খুলনা পাইকগাছা থানার শামুকপোতা এলাকার প্রশান্ত মন্ডলকে আঠার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে অপদ্রব্য জেলি পুশ চিংড়ি বাজারজাত ও পরিবহনে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
জরিমানাকৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়েছে এবং জব্দকৃত অপদ্রব্য জেলি পুশ চিংড়ি উপস্থিত জনগণ, মৎস্য কর্মকর্তা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণের সম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে।
Leave a Reply